সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেটসহ সারা দেশে এক যুগে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার থেকে। সিলেট জেলায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে সিভির সার্জন অফিসে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় আগামির ভবিষৎ শিশুর স্বাস্থ্য সুরায়, ভিটামিনের ঘাড়তি পুরণে কোন প্রকার গুজবে কান না দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ভিটামিন এ ক্যাপ্সুল শুধুমাত্র শিশুদের অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ত রা করে না এই ক্যাপ্সুল শিশুরোগ প্রতিরোধ মতা বৃদ্ধি করে। ডায়ারিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমিয়ে শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। তিনি বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনোমদিত আর্ন্তজাতিক মানসম্মত এ ক্যাপ্সুল শিশুদের জন্য সম্পন্ন নিরাপদ। এ ক্যাপ্সুলে কোন পার্শ্ব পতিক্রিয়া নেই। শিশুদের শরীর স্বাস্থ্য সুরায় কোন প্রকার গুজবে কান না দিয়ে অত্যাধুনিক মানসম্পন্ন এ ক্যাপ্সুল খাওয়াতে আহবান জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলার ১২টি উপজেলায় এবং শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোট ২ হাজার ৫ শত ৪৭ টি কেন্দ্রে ৬ থেকে ১১ মাস ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের শিশুকে এই টিকা খাওয়ানো হবে। সিলেট জেলায় ৬ থেকে ১১ মাসের শিশুর সংখ্যা ৪৯হাজার ১শত ৩৩ জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৮ শত ১৪ জন। এবারের ক্যাম্পেইনে স্বেচ্ছাসেবি সংখ্যা ৭ হাজার ৬ শত ৪১ জন।
ক্যাম্পেইন কাজে নিয়োজিত সরকারী কর্মচারী সংখ্যা ৭ শত ৮৬ জন। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন করে স্বেচ্ছা সেবি শিশুদের ক্যাপ্সুল খাওয়াবেন। এছাড়া স্থায়ী টিকা দান কেন্দ্র হাসপাতালেও এ কার্যক্রম চলবে। জেলায় মোট অস্থায়ী টিকা দান কেন্দ্র ২ হাজার ৪ শত ১৬টি। ভ্রামমান কেন্দ্র ৩৬ টি। এ সকল কেন্দ্রে এক যোগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপ্সুল খাওয়ানো হবে। এ ছাড়া এই দিনে জেলার কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার বাদ পড়া শিশুদের বের করে ক্যাপ্সুল খাওয়ানো হবে। সিরাজুল মনিরে পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মেডিকেল অফিসার নুরে আলম মোঃ শামীম, আনসার বিডিপি’র মোঃ আজহারুল হুদা। এছাড়া বিশ্ব জলাতংক দিবস উপলে অপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জলাতংক বিষয়ে জানোন এবং প্রতিরোধ করুণ এ স্লোগানকে সামনে রেখে সভায় বক্তারা বলেন, জলাতংক চিকিৎসা সম্পর্কে তৃণমুল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। দেশের হাসপাতাল সমুহে এ রোগের প্রয়োজনীয় ঔষুধ সংরতি থাকে এটা সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে।
বিস্তারিত... http://surmatimes.com/2013/10/03/36163.aspx/
via Sylhet News | সুরমা টাইমস http://feedproxy.google.com/~r/surmatimes/~3/51nyH7afDbY/
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন